Blog
/
Category
/
Details
কেন টেলিসেলস গুরুত্বপূর্ণ? || ? (Importance Of Telesales)
বর্তমান বিশ্বে বিজনেস মডেল দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং, ই-কমার্স এবং বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমের আসা সত্ত্বেও, টেলিসেলস এখনও মার্কেটিংয়ের একটি স্ট্রং মিডিয়া হিসেবে বিদ্যমান। টেলিসেলস বা টেলিফোনের মাধ্যমে সেলস এমন একটি প্রসেস, যেখানে বিক্রেতা ক্রেতার সাথে সরাসরি কথা বলে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রির চেষ্টা করে। এটি শুধু সেলসই নয়, পাশাপাশি একটি কাস্টমার রিলেশন বিল্ডআপের একটি ইফেক্টিভ মেথড। তাই বুঝতেই পারছেন টেলিসেলস যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। এখন প্রশ্ন হলো, টেলিসেলস কেন গুরুত্বপূর্ণ? আজকে সপই প্রশ্নের উত্তর-ই আমরা খোজার চেষ্টা করবো। তাই চলুন একনজরে আজকের টপিকগুলো দেখে নেই,
টেলিসেলসের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব
টেলিসেলস কী? || What Is Telesales? ||
টেলিসেলস হচ্ছে টেলিফোনের মাধ্যমে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেলস প্রসেস। এই পদ্ধতিতে বিক্রেতারা সরাসরি ফোন করে কাস্টমারদের সঙ্গে কমিউনিকেট করে, তাদের ডিমান্ড স্পেসিফাই করে এবং সেই অনুযায়ী রিলেভেন্ট প্রোডাক্ট বা সার্ভিস অফার প্রদান করে। এটি এক ধরনের ডিরেক্ট মার্কেটিং স্ট্রাটেজি, যেখানে কনভার্সেশনের মাধ্যমে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেলস করা হয়।
টেলিসেলসের ভূমিকা || Role Of Telesales ||
মার্কেটিং স্ট্রাটেজিতে টেলিসেলসের বিশেষ কিছু ভূমিকা রয়েছে যা অন্যান্য সেলস মেথড থেকে আলাদা। প্রথমত, এটি কাস্টমারের সাথে ডিরেক্ট কমিউনিকেশনের একটি ইফেক্টিভ ওয়ে। ফোন কলের মাধ্যমে একজন বিক্রেতা খুব সহজেই কাস্টমারের মনোভাব ও চাহিদা সম্পর্কে জানতে পারে। দ্বিতীয়ত, এটি কস্ট-ইফেক্টিভ। এখানে এডভার্টাইজমেন্টের মতো বড় বাজেটের প্রয়োজন হয় না। তৃতীয়ত, এটি প্রায় সব ধরনের বেজনেসের জন্য প্রযোজ্য; ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং বৃহৎ সব ধরনের বেজনেসই টেলিসেলস ব্যবহার করতে পারে।
টেলিসেলসের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব || Need And Importance Of Telesales ||
ব্যক্তিগত যোগাযোগ || Personal Communication ||
টেলিসেলস একটি পার্সোনাল লেভেলের স্ট্রাটেজি যেখানে কাস্টমারের সাথে সরাসরি কথা বলা হয়। কাস্টমার যখন সরাসরি বিক্রেতার সাথে কথা বলেন, তখন তিনি তার প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে পারেন এবং ইন্সট্যান্ট ডিসিশন নিতে পারেন। এই পার্সোনাল কমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠানের প্রতি কাস্টমারের আস্থা বৃদ্ধি করে এবং সেলস পজিটিভিটিও বাড়ায়। এটি অন্যান্য স্ট্রাটেজির চেয়ে অনেক বেশি পার্সোনালাইজ, কারণ এখানে বিক্রেতা সরাসরি কাস্টমারের প্রয়োজন এবং উদ্বেগ বুঝতে পারেন।
দ্বিমুখী যোগাযোগের সুযোগ || Two-way Communication Opportunities ||
এডভার্টাইজমেন্ট, পোস্টার, বা ইমেইল মার্কেটিং সাধারণত ওয়ান-ওয়ে কমিউনিকেশন প্রসেস হিসেবে কাজ করে, যেখানে বিক্রেতা প্রোডাক্ট নিয়ে ইনফরমেশ প্রোভাইট করে এবং কাস্টমার তা রিসিভ করে।
কিন্তু টেলিসেলসে, দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি কনভার্সেশন হয়। কাস্টমার তার মতামত জানাতে পারেন এবং বিক্রেতা সেই অনুযায়ী ফিডব্যাক জানাতে পারেন। এই টু-ওয়ে কমিউনিকেশন সেলস প্রসেসটিকে অনেক বেশি দক্ষ করে তোলে।
দ্রুত ফলাফল || Fast Result ||
অন্যান্য সেলস মেথডের তুলনায় টেলিসেলস দ্রুত রেজাল্ট নিয়ে আসে। আপনি যদি একটি ভালো স্ক্রিপ্ট এবং একটি ট্রেইন্ড এবং এক্সপার্ট টেলিসেলস টিম করতে পারেন তাহলে ইন্সট্যান্ট সেলস নিয়ে আসতে পারেন। ফোন কলের মাধ্যমে কাস্টমারের প্রয়োজন অনুসারে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রেজেন্ট করা হলে, কাস্টমারের ডিসিশন নেওয়ার প্রসেসটি ফাস্ট হয়। বিশেষ করে যে প্রোডাক্টগুলো কম দামি বা ইন্সট্যান্ট ডিমান্ড ফুলফিল করতে পারে, সেগুলোর জন্য টেলিসেলস খুবই কার্যকর।
খরচ সাশ্রয় || Reduce Cost ||
ট্রেডিশনাল মার্কেটিংয়ের তুলনায় টেলিসেলস অনেক ক্সট ইফেক্টিভ। এছাড়া টেলিভিশন এডভার্টাইজমেন্ট, বিলবোর্ড, অথবা প্রিন্ট মিডিয়ায় এড দেওয়ার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়।
অপরদিকে টেলিসেলসের জন্য কেবলমাত্র একটি ফোনলাইন, কিছু ট্রেন্ড এক্সপার্ট পারসন, এবং একটি ইফেক্টিভ স্ক্রিপ্ট প্রয়োজন। এছাড়া টেলিসেলসের মাধ্যমে অনেক বেশি স্পেসিফিক টার্গেটে পৌঁছানো সম্ভব, যার ফলে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমে যায়।
সম্পর্ক তৈরি || Relationship Building ||
টেলিসেলস কেবল সেলসই করে না, এটি কাস্টমারদের সাথে লংটার্ম রিলেশন গড়ে তুলতেও হেল্প করে। টেলিসেলস রিপ্রেজেনটেটিভরা কাস্টমারদের প্রয়োজন সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তাদের ডিমান্ড অনুযায়ী প্রোডাক্ট অফার করতে পারেন। এই প্রসেসের মাধ্যমে কাস্টমারদের প্রোডাক্ট ব্র্যান্ডের প্রতি ট্রাস্ট তৈরি হয় এবং ভবিষ্যতে আবার কেনাকাটা করতে মোটিভেটেড হন।
বিশ্লেষণ এবং পরিমাপ || Analysis And Measurement ||
টেলিসেলসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল এর কার্যক্রম সহজে মেজারমেন্ট করা যায়। ফোন কলের নাম্বার, সেলস রেট এবং কাস্টমারের ফিডব্যাক এ্যানালিসিস করতে পারেন। এই ইনফরমেশনগুলো ফিউচার স্ট্রাটেজি আইডেন্টিফাই করতে হেল্প করে। অন্যদিকে, ট্রেডিশনাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে এই ধরনের স্পেসিফিক এ্যানালিসিস করা কঠিন।
সময় ও স্থানের উপর নির্ভরশীল নয় || Not Dependent On Time And Space ||
টেলিসেলস সময় এবং স্থানের লিমিটেশন ছাড়াই তাদের এক্টিভিটিজ রান করতে পারে। এক্ষেত্রে টেলিসেলস পারর্সন তার অফিস বা যে কোনও স্থানে বসে কাস্টমারদের সাথে কমিউনিকেট করতে পারেন। একইভাবে, কাস্টমাররাও তাদের সুবিধামতো সময়ে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন। এটি যারা বিভিন্ন এরিয়াতে তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রোভাইট করতে চান তাদের বেজনেসগুলোর জন্য বেশি ইফেক্টিভ।
টেলিসেলসের চ্যালেঞ্জ || Challenges Of Telesales ||
যদিও টেলিসেলস অনেক সুবিধা প্রোভাইট করে, তবুও এর কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। প্রথমত, সব কাস্টমার এমন ফোন কল পেতে ইন্টারেস্টেড থাকে না। অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ফোন কলগুলো তাদের জন্য বিরক্তিকর হতে পারে, যা কাস্টমারের মধ্যে নেগেটিভ ইফেক্ট ক্রিয়েট করতে পারে।
দ্বিতীয়ত, টেলিসেলস প্রসেসটি খুবই সময়সাপেক্ষ হতে পারে, কারণ এখানে একজন বিক্রেতাকে প্রতিটি কাস্টমারের সাথে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলতে হয়।
তৃতীয়ত, টেলিসেলসের সাকসেস অনেকাংশেই রিপ্রেজেনটেটিভের স্কিলের উপর ডিপেন্ড করে। যদি টেলিসেলস পারর্সন সঠিকভাবে ট্রেইন্ড না হন, তাহলে তিনি প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের যথাযথ রিপ্রেজেন্ট করতে ব্যর্থ হতে পারেন এবং এরফলে সেলস রেইট কমতে পারে।
এছাড়াও, টেলিসেলস রিপ্রেজেনটেটিভদের অনেক সময় নেগেটিভ সিচুয়েশন ফেইস হতে হয়, যেমন কাস্টমারদের অসম্মানজনক ব্যবহার বা রেগুলার সেলস অর্ডার না আসা।
সাফল্যের উপায় || Tips For Success ||
টেলিসেলসে সাকসেসফুল হতে হলে কিছু স্ট্রাটেজিক দিক ফলো করতে হবে। প্রথমত, সঠিকভাবে টার্গেট করা প্রয়োজন। সব ধরনের কাস্টমারের কাছে ফোন কল করা অপ্রয়োজনীয়। বিশেষভাবে নির্দিষ্ট একটি টার্গেট কাস্টমার ক্লাস সিলেক্ট করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, টেলিসেলস রিপ্রেজেনটেটিভদের ট্রেনিং অত্যন্ত জরুরি। তাদের শুধু প্রোডাক্ট সম্পর্কে নলেজ থাকলেই হবে না, বরং কাস্টমারদের সঙ্গে ফ্রেন্ডলি এবং প্রফেশনাল উপায়ে কথা বলার স্কিলও থাকতে হবে।
তৃতীয়ত, সেলস স্ক্রিপ্ট অবশ্যই শর্ট, রিলেভেন্ট, এবং ইন্টারেস্টিং হতে হবে। লং এবং কমপ্লেক্স স্ক্রিপ্ট কাস্টমারের এ্যাটেনশন হারানোর রিস্ক বাড়ায়।
চতুর্থত, সেলস প্রসেস ধৈর্যশীল হতে হবে। একটি ফোন কলেই সেল অর্ডার আসবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। প্রায়ই একাধিক ফোন কল করতে হতে পারে, তবে রেগুলার কমিউনিকেশন বজায় রাখলে সাকসেস আসবেই।
শেষকথা || Conclusion ||
বিভিন্ন মর্ডান মার্কেটিং স্ট্রাটেজি এবং টেকনলোজি ইনোভেশন হলেও, টেলিসেলস এখনও একটি অত্যন্ত ইফেক্টিভ এবং গুরুত্বপূর্ণ সেলস মেথড হিসেবে বিদ্যমান। এটি একটি পারসোনাল কমিউনিকেশন মিডিয়া যা দ্রুত রেজাল্ট প্রোভাইট করতে সক্ষম।
তাই চাইলেই, টেলিসেলসের মাধ্যমে কাস্টমারদের সঙ্গে গুড রিলেশন বিল্টআপ করা যায়, যা লংটার্ম বেজনেসের জন্য খুবই জরুরি। তবে, টেলিসেলসের সাকসেস ডিপেন্ড করে কারেক্ট স্ট্রাটেজি এবং স্কিলড রিপ্রেজেনটেটিভের উপর।
লেখা-Ayesha Alam
RELATED ARTICLES
কেন টেলিসেলস গুরুত্বপূর্ণ? || ? (Importance Of Telesales)
বর্তমান বিশ্বে বিজনেস মডেল দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং, ই-কমার্স এবং বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমের আসা সত্ত্বেও, টেলিসেলস এখনও মার্কেটিংয়ের একটি স্ট্রং মিডিয়া হিসেবে বিদ্যমান। টেলিসেলস বা টেলিফোনের মাধ্যমে সেলস এমন একটি প্রসেস, যেখানে বিক্রেতা ক্রেতার সাথে সরাসরি কথা বলে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রির চেষ্টা করে। এটি শুধু সেলসই নয়, পাশাপাশি একটি কাস্টমার রিলেশন বিল্ডআপের একটি ইফেক্টিভ মেথড। তাই বুঝতেই পারছেন টেলিসেলস যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। এখন প্রশ্ন হলো, টেলিসেলস কেন গুরুত্বপূর্ণ? আ
কিভাবে আমি কপিরাইটিং প্রাকটিস করতে পারি? || How can I Practise Copywriting (Practice Guideline for Copywriter)
কপিরাইটিং এমন একটি স্কিল যা যে কোনো প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ রোল প্লে করে। এটি শুধুমাত্র শব্দের ব্যবহার নয়, বরং রিডারদের এফেক্ট করা, তাদের আগ্রহ ক্রিয়েট করা এবং তাদের কাছে সঠিক মেসেজ পৌঁছানো নিয়েও কাজ করে। কপিরাইটার হিসেবে সফল হতে হলে আপনাকে এই স্কিলটি রেগুলার প্র্যাকটিস করতে হবে। আজকে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে আপনি কপিরাইটিং স্কিল প্র্যাকটিস করতে পারেন এবং সেইসাথে কিছু ইফেক্টিভ স্ট্রাটেজি নিয়ে, যা আপনার ডেভেলমেন্টকে হেল্প করবে। ১. প্রতিদিন লেখার অভ্যাস গড়ে তুলু
কপিরাইটার কেমন ক্যারিয়ার? || Is Copywriter A Good Career?(Introduction about Copywriter Job)
কপিরাইটিং বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ডিমান্ডিং প্রফেশান। ডিজিটাল বিপ্লব, অনলাইন মার্কেটিংয়ের উত্থান এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্টের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে কপিরাইটার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া আজকাল অনেকের জন্য একটি আকর্ষণীয় চয়েজ হয়ে উঠেছে। কপিরাইটিংকে সাধারণত লেখালেখির একটি ক্রিয়েটিভ সেকশন হিসেবে দেখা হয় যেখানে একজন প্রফেশনাল রাইটার প্রোডাক্ট, সার্ভিস কিংবা প্রতিষ্ঠানের জন্য ইফেক্টিভ ও আকর্ষণীয় ইমেজ ক্রিয়েট করেন, যা সেই প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিংকে আরো ইজি ও সাকসেসফুল করে তোলে। এই কাজের ম
বিগিনাররা কিভাবে কপিরাইটিং শিখতে পারে? || How Do Beginners Learn Copywriting? || (Guideline for Beginners)
কপিরাইটিং হলো এমন একটি ক্রিয়েটিভ কাজ, যা একজন রাইটারকে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেলের জন্য বা রিডারের এ্যাটেনশন পাওয়ার জন্য রাইটিং স্কিল ইউজ করতে শেখায়। এটি বর্তমান যুগে একটি অত্যন্ত ডিমান্ডেবল জব, যা বিভিন্ন অর্গানাইজেশন এবং অনলাইন বিজনেসের জন্য অপরিহার্য। তাই এখন অনেকেই এই প্রফেশনে আসতে আগ্রহী। কিন্তু কিভাবে আসবেন বুঝতে পারছে না। যদি আপনি একজন বিগিনার হন এবং কপিরাইটিং শিখতে চান, তবে আজকের আলোচনাটি আপনার জন্য। চলুন একজন বিগিনার হিসেবে কিভাবে কপিরাইটিং শিখবেন সেই আলোচনার সংক্ষিপ্ত টপিকগুলো দেখে নেই
Relevant Live Courses for BUSINESS AND MARKETING