বিগিনাররা কিভাবে কপিরাইটিং শিখতে পারে?  ||  How Do Beginners Learn Copywriting?   ||  (Guideline for Beginners)

26 September 2024

1 min read

কপিরাইটিং হলো এমন একটি ক্রিয়েটিভ কাজ, যা একজন রাইটারকে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেলের জন্য বা রিডারের এ্যাটেনশন পাওয়ার জন্য রাইটিং স্কিল ইউজ করতে শেখায়। এটি বর্তমান যুগে একটি অত্যন্ত ডিমান্ডেবল জব, যা বিভিন্ন অর্গানাইজেশন এবং অনলাইন বিজনেসের জন্য অপরিহার্য। তাই এখন অনেকেই এই প্রফেশনে আসতে আগ্রহী। কিন্তু কিভাবে আসবেন বুঝতে পারছে না। যদি আপনি একজন বিগিনার হন এবং কপিরাইটিং শিখতে চান, তবে আজকের আলোচনাটি আপনার জন্য। চলুন একজন বিগিনার হিসেবে কিভাবে কপিরাইটিং শিখবেন সেই আলোচনার সংক্ষিপ্ত টপিকগুলো দেখে নেই,

কপিরাইটিং কী?

কেন কপিরাইটিং শিখবেন?  

বিগিনারদের জন্য কপিরাইটিং শেখার প্রাইমারি স্টেপ 

১.মৌলিক ধারণা ও গবেষণা

২.ভাষার দক্ষতা বাড়ানো 

৩. পাঠকের মনোভাব বোঝা 

৪.অনুপ্রেরণা নেওয়া

৫.লিখতে শুরু করুন

৬. কপিরাইটিং এর বিভিন্ন ফর্মের সাথে পরিচিত হওয়া 

৭. অনলাইন কোর্স ও রিসোর্স ব্যবহার করা  

৮. ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ শুরু করা 

কপিরাইটিং কী?   ||  What Is Copywriting  ||  

কপিরাইটিং হলো এমন একটি স্টাইল, যেখানে স্পেসিফিক ওয়ার্ডের মাধ্যমে একটি মেসেজ প্রোভাইট করা হয়, যার টার্গেট হলো রিডারকে মোটিভেট করা, তাদের ইন্টারেস্ট ধরে রাখা এবং একটি নির্দিষ্ট কাজ করতে মোটিভেটেড করা। যেমন আপনি দেখবেন,  একটি প্রোডাক্টের এ্যাড কপিতে এমন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজ করা হয়, যা রিডারের এটেনশন গ্র্যাব করে এবং সেই প্রোডাক্ট কেনার প্রয়োজনীয়তা ফিল করায়।

কেন কপিরাইটিং শিখবেন?   ||  Why You Learn Copywriting 

আপনি কেন কপিরাইটিং শিখবেন? কারণ কপিরাইটিং একটি স্কিল যা বর্তমান ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের যুগে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ব্লগ পোস্ট, ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া কপিসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কপিরাইটিংয়ের গুরুত্ব বাড়ছে। সুতরাং, কপিরাইটিং শিখলে ফ্রিল্যান্সিং, এজেন্সি বা পারসোনাল বিজনেসেও আপনি একটি ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

বিগিনারদের জন্য কপিরাইটিং শেখার প্রাইমারি স্টেপ   ||  Primary Steps In Learning Copywriting For Beginners  

আপনি যদি একজন বিগিনার হয়ে থাকেন, তাহলে খুব সহজেই এই স্টেপগুলো ফলো করে, একজন কপিরাইটার হিসেবে আপনার জার্নি শুরু করতে পারেন। রাইট ট্রেকে ধীরে ধীরে আগালে একজন স্কিলড কপিরাইটার হওয়া সম্ভব।

১.মৌলিক ধারণা ও গবেষণা  ||   1. Basic Idea And Research 

প্রথমে আপনাকে কপিরাইটিংয়ের বেসিক আইডিয়া এবং বিভিন্ন ভার্সন সম্পর্কে জানতে হবে। কপিরাইটিং বিভিন্ন ফিল্ডে ইউজ হয়— এ্যাডভারটাইজমেন্ট, ব্লগ, ওয়েবসাইট কন্টেন্ট, ইমেইল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট, প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন ইত্যাদি। প্রতিটি ফিল্ডের জন্য আলাদা আলাদা স্ট্রাটেজি প্রয়োজন, তাই শুরুতে রিসার্চ করে বিভিন্ন ধরনের কপির সঙ্গে আপনার নিজেকে পরিচিত হতে হবে।

২.ভাষার দক্ষতা বাড়ানো   ||  2. Enhancing Language Skills   

কপিরাইটিং মূলত শব্দের খেলা, তাই ভাষার উপর আপনার দখল থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যত বেশি আপনি ভাষাকে ভালোভাবে ইউজ করতে পারবেন, তত ভালো কপিরাইটার হতে পারবেন। আপনাকে বুঝতে হবে কোন সিচুয়েশনে কীভাবে শব্দ ব্যবহার করতে হবে, কিভাবে রিডারের মনোযোগ আকর্ষণ করা যায় এবং কীভাবে কম শব্দে বেশি কিছু বলা যায়। এজন্য রেগুলার পড়াশোনা করতে হবে এবং লেখালেখির অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

৩. পাঠকের মনোভাব বোঝা   ||  3. Understanding The Reader's Attitude 

একজন কপিরাইটার হিসেবে, আপনার কাজ শুধুমাত্র লেখা নয়, বরং সেই লেখার মাধ্যমে আপনার রিডারের এটেনশন ধরে রাখা এবং তাদেরকে কোনো স্পেসিফিক স্টেপ নিতে মোটিভেট করা। তাই, আপনার টার্গেট কেবল লেখার মান বাড়ানো নয়, বরং রিডারের মাইন্ডসেট বুঝতে পারাও একটি বড় কাজ। 

যদি আপনি জানেন যে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স কি চায়, তাদের সমস্যা কী, এবং তারা কীভাবে চিন্তা করে, তাহলে সেই অনুযায়ী আপনি এমন মেসেজ ক্রিয়েট করতে পারবেন যা তাদের আকর্ষণ করবে। এজন্য মার্কেট রিসার্চ, কাস্টমার ফিডব্যাক এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডগুলো সম্পর্কে আপনার আইডিয়া রাখা প্রয়োজন।

৪.অনুপ্রেরণা নেওয়া  ||   4. Taking Inspiration 

কপিরাইটিং শেখার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেপ হলো স্কিলড কপিরাইটারদের কাজ থেকে ইন্সপিরেশন নেওয়া। তাই আপনি ফেমাস কপিরাইটারদের লেখা পড়ুন, বিভিন্ন এ্যাডভারটাইজমেন্টের কপি এ্যানালিসিস করুন এবং দেখুন কীভাবে তারা রিডারের এটেনশন ধরে রাখতে এবং তাদের আকর্ষণ করতে পেরেছে। 

বিখ্যাত ব্র্যান্ডের কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি এ্যানালিসিস করে দেখুন কীভাবে তারা সাকসেসফুল হয়েছে। কিছু ভালো উদাহরণ হলো নাইক (Nike), কোকা-কোলা (Coca-Cola), এবং অ্যাপল (Apple)–যাদের ব্র্যান্ডিং এবং কপিরাইটিং খুবই স্ট্রং এবং ইনোভেটিব।

৫.লিখতে শুরু করুন  ||   5. Start writing  

আপনার কপিরাইটিং শেখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো রেগুলার রাইটিং এক্সারসাইজ করা। একদম ছোট থেকে শুরু করুন এবং প্রতিদিন কিছু লিখুন। আপনি ব্লগ পোস্ট, সোশ্যাল মিডিয়া কপি বা প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লিখে এক্সারসাইজ করতে পারেন। প্রথমদিকে আপনার লেখায় কিছু ভুল হতে পারে, তবে সময়ের সাথে সাথে আপনি স্কিলফুল হয়ে উঠবেন। তাই নিজের কাজ নিজে ইভালুয়েট করুন এবং প্রতিবার নতুন কিছু শেখার ট্রাই করুন।

৬. কপিরাইটিং এর বিভিন্ন ফর্মের সাথে পরিচিত হওয়া   ||  6.  Familiarity With Different Forms Of Copywriting   

কপিরাইটিংয়ের বিভিন্ন টাইপ রয়েছে এবং এগুলো সম্পর্কে আপনার আইডিয়া থাকা দরকার। এরকম কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফর্ম হলো:

  • এ্যাডভারটাইজমেন্ট কপি: শর্ট এবং স্ট্রং মেসেজ ক্রিয়েট করা, যা প্রোডাক্ট এ্যাডভারটাইজমেন্টে ইউজ হয়।
  • ব্লগ কন্টেন্ট: রিডারের ইন্টারেস্ট ধরে রাখতে এবং নির্দিষ্ট বিষয়ে ইনফরমেশন প্রোভাইট করতে ব্লগ পোস্ট লিখতে হয়।
  • ইমেইল কপি: ইমেইল মার্কেটিংয়ের জন্য ইমেইল ক্রিয়েট করা হয়, যেখানে শর্ট মেসেজ দিয়ে রিডারকে মোটিভেট করতে হয়।
  • সোশ্যাল মিডিয়া কপি: সোশ্যাল মিডিয়ায় ইন্টারেস্টিং এবং ইফেক্টিভ পোস্ট লেখার স্কিল থাকতে হবে।

৭. অনলাইন কোর্স ও রিসোর্স ব্যবহার করা   ||  7.  Using Online Courses And Resources    

বর্তমানে কপিরাইটিং শেখার জন্য অনেক অনলাইন কোর্স ও রিসোর্স রয়েছে। Udemy, Coursera, এবং Skillshare-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে বিভিন্ন কপিরাইটিং কোর্স পাওয়া যায়। বাংলা ভাষায় শিখতে চাইলে রয়েছে Ostad প্ল্যাটফর্ম। এছাড়াও, YouTube ও ব্লগে প্রচুর ফ্রি রিসোর্স রয়েছে, যা আপনাকে কপিরাইটিংয়ের বিভিন্ন স্ট্রাটেজি ও টিপস শেখাতে হেল্পফুল হবে।

৮. ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ শুরু করা   ||  8.  Getting Started On Freelancing Platforms 

যখন আপনি কপিরাইটিংয়ে কিছুটা স্কিল অর্জন করবেন, তখন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ শুরু করতে পারেন। Upwork, Fiverr, এবং Freelancer এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে অনেক কপিরাইটিং কাজ পাওয়া যায়। শুরুতে ছোট প্রজেক্ট দিয়ে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে স্কিল ও সেলফ কনফিডেন্স অর্জন করুন।

শেষকথা   ||  Conclusion 

কপিরাইটিং শেখা একটি স্টেপ বাই স্টেপ, যা ধৈর্য, অভ্যাস, এবং কান্টিনিউয়াস লার্নিংয়ের মাধ্যমে অর্জন করা যায়। তাই এই ফিল্ডে জার্নি শুরু করলে, আপনার শুরুতে একটু কঠিন মনে হলেও, রেগুলার এক্সারসাইজ ও প্রাকটিসের মাধ্যমে আপনি একজন দক্ষ কপিরাইটার হয়ে উঠতে পারবেন। 

লেখা: Ayesha Alam

Share this article

RELATED ARTICLES

কপিরাইটার কেমন ক্যারিয়ার? ||  Is Copywriter A Good Career?(Introduction about Copywriter Job)

কপিরাইটিং বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ডিমান্ডিং প্রফেশান। ডিজিটাল বিপ্লব, অনলাইন মার্কেটিংয়ের উত্থান এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্টের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে কপিরাইটার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া আজকাল অনেকের জন্য একটি আকর্ষণীয় চয়েজ হয়ে উঠেছে।  কপিরাইটিংকে সাধারণত লেখালেখির একটি ক্রিয়েটিভ সেকশন হিসেবে দেখা হয় যেখানে একজন প্রফেশনাল রাইটার প্রোডাক্ট, সার্ভিস কিংবা প্রতিষ্ঠানের জন্য ইফেক্টিভ ও আকর্ষণীয় ইমেজ ক্রিয়েট করেন, যা সেই প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিংকে আরো ইজি ও সাকসেসফুল করে তোলে। এই কাজের ম

08 October 2024

1 min read

বিগিনাররা কিভাবে কপিরাইটিং শিখতে পারে?  ||  How Do Beginners Learn Copywriting?   ||  (Guideline for Beginners)

কপিরাইটিং হলো এমন একটি ক্রিয়েটিভ কাজ, যা একজন রাইটারকে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেলের জন্য বা রিডারের এ্যাটেনশন পাওয়ার জন্য রাইটিং স্কিল ইউজ করতে শেখায়। এটি বর্তমান যুগে একটি অত্যন্ত ডিমান্ডেবল জব, যা বিভিন্ন অর্গানাইজেশন এবং অনলাইন বিজনেসের জন্য অপরিহার্য। তাই এখন অনেকেই এই প্রফেশনে আসতে আগ্রহী। কিন্তু কিভাবে আসবেন বুঝতে পারছে না। যদি আপনি একজন বিগিনার হন এবং কপিরাইটিং শিখতে চান, তবে আজকের আলোচনাটি আপনার জন্য। চলুন একজন বিগিনার হিসেবে কিভাবে কপিরাইটিং শিখবেন সেই আলোচনার সংক্ষিপ্ত টপিকগুলো দেখে নেই

26 September 2024

1 min read

প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ইন্টারভিউ ক্র্যাক করার ৫ টি টিপস

চারদিকে প্রোডাক্ট ম্যানেজারের ভীরে প্রোডাক্ট ম্যানেজার আসলে কাকে বলে? সহজ ভাষায় বলতে গেলে, একটা প্রোডাক্টের জীবনকালের শুরু থেকে শেষ, অর্থাৎ প্রোডাকশন থেকে কনজিউমার পর্যন্ত আগাগোড়া যার নখদর্পণে থাকে তাকেই বলা হয় প্রোডাক্ট ম্যানেজার।  কাজের পরিধি শুনে ভয় পেয়ে গেলেন না তো? কাজ যতটুক-ই হোক, এটা জেনে নিন যে, বর্তমানে প্রতিটি কোম্পানি-তেই প্রোডাক্ট ম্যানেজার নিয়োগ দেয়া হয়। তাই ইন্টারভিউ ফেইস করে, আপনিও হতে পারেন প্রোডাক্ট ম্যানেজার।  চলুন জেনে নেই, প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ইন্টারভিউ ক্র্যাক করার ৫ টি

15 May 2024

জুনিয়র প্রোডাক্ট ডিজাইনারদের কাছে কোম্পানিরা কী এক্সপেক্ট করেন?

একজন জুনিয়র প্রোডাক্ট ডিজাইনার হল এন্ট্রি-লেভেলের ডিজাইন প্রফেশনালস, যাকে সাধারণত প্রোডাক্ট ডিজাইন টিমে হায়ার করা হয়।  তারা স্টার্ট-আপ, বড় কর্পোরেশন, নন-প্রফিট এবং গভর্নমেন্ট অর্গানাইজেশনগুলোতে কাজ করে। মূলত জুনিয়র প্রোডাক্ট ডিজাইনার যে কোনও অর্গানাইজেশনেই কাজ করতে পারে,  যা হিউম্যান ইউজার প্রোডাক্ট, বা সার্ভিস প্রোভাইড করে।   আপনি যদি কোনো এক্সপেরিয়েন্স ছাড়াই প্রোডাক্ট ডিজাইনে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে আগ্রহী হন, তাহলে একজন জুনিয়র প্রোডাক্ট ডিজাইনারের রোল সম্ভবত ইন্ড্রাস্ট্রিতে আপনার ফার

15 May 2024

অনলাইন লাইভ স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম।

ডাউনলোড করুন ওস্তাদ অ্যাপ

কমিউনিটি -এর সাথে কানেক্টেড থাকতে