Blog
/
Category
/
Details
এসইও অপটিমাইজেশন: ডাটা ড্রিভেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবহার
আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং, ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইন বিজনেস ইত্যাদি ব্যাপারে খানিকটা আগ্রহ হয়ে থাকে তাহলে আপনি এসইও সম্পর্কে নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন। এসইও হল মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা সহজভাবে বললে কনটেন্ট কে সার্চ ইঞ্জিন যেমন গুগলে র্যাংক করানো। এখন প্রশ্ন হলো এই এসইও ব্যবহার করে কিভাবে ডাটা ড্রিভেন রেজাল্ট আনা যায়, চলুন এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও
আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি আপনি কি কখন গুগল সার্চ করার পর আপনার কাঙ্খিত ফলাফলের জন্য দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় পৃষ্ঠায় গিয়েছেন, খুব সম্ভবত যাননি। এক তথ্য মতে যারা গুগলের সার্চ করে তাদের মধ্যে ৯৯% কেবলমাত্র প্রথম পেজেই সীমাবদ্ধ থাকে যার মধ্যে প্রথম এক দুইটি ওয়েবসাইটেই বেশিরভাগ মানুষ ক্লিক করে থাকে। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে আপনার সাইটে তখনই বেশি মানুষ আসবে যখন ওয়েবসাইটটি গুগলে এক থেকে দুই র্যাংকিং এ থাকবে বা অন্ততপক্ষে প্রথম পেইজে থাকবে। এখন এই র্যাংকিং এর জন্য আপনার করণীয় কি? উত্তর হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও।
বেষ্ট এসইও প্র্যাক্টিস-
এসইও সম্পর্কে তো খানিকটা জানা গেল এখন আসা যাক কিছু বেস্ট এসইও প্র্যাকটিসে
- কীওয়ার্ড অপটিমাইজেশন-
সহজ ভাষায় কিওয়ার্ড হলো সার্চ ইঞ্জিন বা গুগলে যেসব শব্দ ব্যবহার করে মানুষজন সার্চ করছে ঠিক সেইসব শব্দকে মাথায় রেখে কন্টেন্ট বা ব্লগ তৈরি করা।
সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করা প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের পিছনের রহস্যই কিন্তু এই কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন। আর একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটর যেকোনো ব্লগ বা কনটেন্ট তৈরির পূর্বে এই কি ওয়ার্ড অপটিমাইজেশনেই সবচেয়ে বেশি জোর দেয়।
একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝা যাক, শীতকালে তো বাংলাদেশে ব্যাডমিন্টন খেলাকে প্রায় একটি ঐতিহ্য বলা যেতে পারে, তাই আপনি ঠিক করলেন এখন আপনার ওয়েবসাইট থেকে ব্যাডমিন্টন সম্পর্কিত একটি ব্লগ পোস্ট করবেন, এখন আপনার জন্য কীওয়ার্ড অপটিমাইজেশন কি হতে পারে? প্রথমত আমাদের যা করতে হবে তা হলো কিওয়ার্ড রিসার্চ অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিনে মানুষজন ব্যাডমিন্টন নিয়ে কোনো তথ্য খুঁজতে গুগলে কি ধরনের শব্দ ব্যবহার করছে তা গবেষণা করে বের করা।
ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের ফ্রি কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল রয়েছে যার সাহায্যে আপনি কিওয়ার্ড নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা করতে পারবেন সেসব টুল নিয়ে না হয় অন্য কোন ব্লগে আলোচনা করব এখন আপনার ব্যাডমিন্টন ব্লগের কীওয়ার্ড রিসার্চ এ আসা যাক।
আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে বাংলা কিওয়ার্ড ব্যবহার করা হলো, সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ইংলিশ কিওয়ার্ড গুলো।
এখন আপনি যদি কিওয়ার্ড রিসার্চের ফলাফল গুলো নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করেন তাহলে আপনার র্যাংকিংয়ের সম্ভাবনা বাড়বে কারণ মানুষ এ সকল শব্দ ব্যবহার করি গুগলে সার্চ করছে।
- অন পেইজ এসইও-
কীওয়ার্ড রিসার্চ এর পর আপনি আপনার কনটেন্টে কিভাবে এবং কোন জায়গায় সেই কিওয়ার্ডগুলো প্লেস করছেন সেই বিষয়টি হলো অন পেইজ এসইও। মানুষ সে সকল শব্দ ব্যবহার করে সার্চ করছে বিধায় আপনি আপনার কনটেন্টে লাগাতার সেই কিওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করলে কিন্তু চলবে না। এর কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। যেমন ধরুন আপনার কনটেন্টের টাইটেলে আপনি চাইলে কাঙ্খিত কিওয়ার্ড টি ব্যবহার করতে পারেন তাছাড়া আপনার কনটেন্টই হেডার ট্যাগ যুক্ত করুন। (যেমন, H1, H2, H3) অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে মেটা ডেসক্রিপশন ব্যবহার করবেন। মেটা ডেসক্রিপশন হলো মূলত আপনার কনটেন্টের একটি ক্ষুদ্র ভূমিকা বা বর্ণনা। তার পাশাপাশি আপনার কনটেন্টে ব্যাকলিংক ব্যবহার করুন। সহজ ভাবে বললে আপনার আগের যেকোনো এক বা দুটি কনটেন্টের লিঙ্ক বর্তমান কনটেন্টে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনার কনটেন্ট যেন পাঠকরা পছন্দ করে, তারা যেন এই ব্লগটি পড়ে কিছু জানতে পারে এবং পুনরায় আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করে।
- টেকনিক্যাল এসইও-
আপনার ওয়েবসাইটকে র্যাংকিংয়ে আনতে হলে শুধুমাত্র কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন করে বসে থাকলে চলবে না আপনার পুরো ওয়েবসাইটকেই অপটিমাইড করতে হবে যাকে আমরা বলছি টেকনিক্যাল এসইও। যেমন ধরুন আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম যদি অনেক বেশি হয় তাহলে কিন্তু বেশি মানুষ আপনার ওয়েবসাইট আর ভিজিট করবে না অর্থাৎ ওয়েবসাইট স্পিড আপনার র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে বেশ জরুরী। তাছাড়া বর্তমানে প্রায় বেশিরভাগ মানুষই মোবাইল দিয়ে ব্রাউজিং করতে বেশি পছন্দ করে তাই আপনার ওয়েবসাইটটি যদি মোবাইল ফ্রেন্ডলি না হয় তাহলেও কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংকিং এর সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। ওয়েবসাইট র্যাংকিংয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো HTTPS এবং SSL certificate। যা মূলত আপনার ওয়েবসাইটের সুরক্ষা এবং আপনার ভিজিটরদের প্রাইভেসির সাথে জড়িত। এই ব্যাপারটি কিন্তু অবশ্যই হোস্টিং এর সময় সুনিশ্চিত করবেন।
এসইও বা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে এমন আরো নিত্যনতুন ব্লগ পড়তে চাইলে ওস্তাদের ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম পেজকে ফলো দিয়ে রাখুন। আর আপনাদের জন্য কিন্তু আমরা নিয়ে আসছি ওস্তাদ ফুলস্ট্যাক ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স ২০২৪ যেখানে আপনারা দশটিও বেশি টপিক একই কোর্সে শিখতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে আজই আমাদের নতুন ব্যাচে যোগ দিন।
RELATED ARTICLES
কপিরাইটার কেমন ক্যারিয়ার? || Is Copywriter A Good Career?(Introduction about Copywriter Job)
কপিরাইটিং বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ডিমান্ডিং প্রফেশান। ডিজিটাল বিপ্লব, অনলাইন মার্কেটিংয়ের উত্থান এবং বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্টের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে কপিরাইটার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া আজকাল অনেকের জন্য একটি আকর্ষণীয় চয়েজ হয়ে উঠেছে। কপিরাইটিংকে সাধারণত লেখালেখির একটি ক্রিয়েটিভ সেকশন হিসেবে দেখা হয় যেখানে একজন প্রফেশনাল রাইটার প্রোডাক্ট, সার্ভিস কিংবা প্রতিষ্ঠানের জন্য ইফেক্টিভ ও আকর্ষণীয় ইমেজ ক্রিয়েট করেন, যা সেই প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিংকে আরো ইজি ও সাকসেসফুল করে তোলে। এই কাজের ম
বিগিনাররা কিভাবে কপিরাইটিং শিখতে পারে? || How Do Beginners Learn Copywriting? || (Guideline for Beginners)
কপিরাইটিং হলো এমন একটি ক্রিয়েটিভ কাজ, যা একজন রাইটারকে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেলের জন্য বা রিডারের এ্যাটেনশন পাওয়ার জন্য রাইটিং স্কিল ইউজ করতে শেখায়। এটি বর্তমান যুগে একটি অত্যন্ত ডিমান্ডেবল জব, যা বিভিন্ন অর্গানাইজেশন এবং অনলাইন বিজনেসের জন্য অপরিহার্য। তাই এখন অনেকেই এই প্রফেশনে আসতে আগ্রহী। কিন্তু কিভাবে আসবেন বুঝতে পারছে না। যদি আপনি একজন বিগিনার হন এবং কপিরাইটিং শিখতে চান, তবে আজকের আলোচনাটি আপনার জন্য। চলুন একজন বিগিনার হিসেবে কিভাবে কপিরাইটিং শিখবেন সেই আলোচনার সংক্ষিপ্ত টপিকগুলো দেখে নেই
প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ইন্টারভিউ ক্র্যাক করার ৫ টি টিপস
চারদিকে প্রোডাক্ট ম্যানেজারের ভীরে প্রোডাক্ট ম্যানেজার আসলে কাকে বলে? সহজ ভাষায় বলতে গেলে, একটা প্রোডাক্টের জীবনকালের শুরু থেকে শেষ, অর্থাৎ প্রোডাকশন থেকে কনজিউমার পর্যন্ত আগাগোড়া যার নখদর্পণে থাকে তাকেই বলা হয় প্রোডাক্ট ম্যানেজার। কাজের পরিধি শুনে ভয় পেয়ে গেলেন না তো? কাজ যতটুক-ই হোক, এটা জেনে নিন যে, বর্তমানে প্রতিটি কোম্পানি-তেই প্রোডাক্ট ম্যানেজার নিয়োগ দেয়া হয়। তাই ইন্টারভিউ ফেইস করে, আপনিও হতে পারেন প্রোডাক্ট ম্যানেজার। চলুন জেনে নেই, প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ইন্টারভিউ ক্র্যাক করার ৫ টি
জুনিয়র প্রোডাক্ট ডিজাইনারদের কাছে কোম্পানিরা কী এক্সপেক্ট করেন?
একজন জুনিয়র প্রোডাক্ট ডিজাইনার হল এন্ট্রি-লেভেলের ডিজাইন প্রফেশনালস, যাকে সাধারণত প্রোডাক্ট ডিজাইন টিমে হায়ার করা হয়। তারা স্টার্ট-আপ, বড় কর্পোরেশন, নন-প্রফিট এবং গভর্নমেন্ট অর্গানাইজেশনগুলোতে কাজ করে। মূলত জুনিয়র প্রোডাক্ট ডিজাইনার যে কোনও অর্গানাইজেশনেই কাজ করতে পারে, যা হিউম্যান ইউজার প্রোডাক্ট, বা সার্ভিস প্রোভাইড করে। আপনি যদি কোনো এক্সপেরিয়েন্স ছাড়াই প্রোডাক্ট ডিজাইনে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে আগ্রহী হন, তাহলে একজন জুনিয়র প্রোডাক্ট ডিজাইনারের রোল সম্ভবত ইন্ড্রাস্ট্রিতে আপনার ফার
Relevant Live Courses for BUSINESS AND MARKETING