লারাভেল কি ফুলস্ট্যাক ফ্রেমওয়ার্ক? || Is Laravel A Full Stack Framework?

16 July 2024

1 min read

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের যুগে ফ্রেমওয়ার্ক কে না ইউজ করে? এই প্রি-বিল্ট স্ট্রাকচারগুলো ডেভেলপারদের কাজকে সহজ করে তোলে। আজকাল ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে আপনি নানারকম কাজ করতে পারেন। যেমন: পাওয়ারফুল ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা, ডেভেলপমেন্ট প্রসেসকে স্ট্রিমলাইন করা এবং কোডের কোয়ালিটি নিশ্চিত করা। এরকম কাজের জন্য অনেক ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে, এখন ডেভেলপারদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগের শীর্ষে রয়েছে, লারাভেল।  

"ফুল-স্ট্যাক" কি আসলে?

১. ব্যাকএন্ড (সার্ভার-সাইড)

২. ফ্রন্টএন্ড (ক্লায়েন্ট-সাইড)

৩. ডাটাবেস ইন্টারঅ্যাকশন

লারাভেলের ব্যাকএন্ড পাওয়ার

● মডেল-ভিউ-কন্ট্রোলার (MVC) আর্কিটেকচার

● পারফেক্ট ORM

● অথেনটিকেশন এবং অথোরাইজেশন

● রাউটিং

● সিকিউরিটি ফিচার

● টাস্ক সাজানো

● আর্টিসান সিএলআই

লারাভেলের ফ্রন্টএন্ড পাওয়ার

● ভ্যানিলা জাভাস্ক্রিপ্ট

● জাভাস্ক্রিপ্ট ফ্রেমওয়ার্ক 

● সিএসএস ফ্রেমওয়ার্ক

লারাভেলের সাথে ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট

● লারাভেল লাইভওয়্যার 

● API-ড্রিভেন ডেভেলপমেন্ট

● কমিউনিটি-ড্রিভেন সলিউশন 

1. লারাভেল ব্রীজ  || Laravel Breeze ||

2. লারাভেল UI

3. থার্ড-পার্টি প্যাকেজ 

ফুল-স্ট্যাকে লারাভেল কি বেস্ট চয়েজ?

একটি ফুল-স্ট্যাক ফ্রেমওয়ার্ক হিসাবে লারাভেলের ফিউচার

কোথায় শিখবেন ?

লারাভেল তার পাওয়ারফুল ফিচার, সিনট্যাক্স এবং সহজ ব্যবহারের জন্য ডেভেলপারদের পছন্দের টপ লিস্টে রয়েছে। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়: লারাভেল কি সত্যিই একটি ফুল-স্ট্যাক ফ্রেমওয়ার্ক ? 

এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে, আপনাকে জানতে হবে, লারাভেল দিয়ে আপনি কি কি কাজ করতে পারবেন? সুতরাং চলুন, চলে যাই মূল আলোচনায়, যেখানে আপনি জানতে পারবেন, ওয়েব ডেভেলমেন্টে লারাভেল আপনাকে কতোটা হেল্প করবে, পাশাপাশি কোথায় থেকে ফুলস্ট্যাক লারাভেল ডেভেলপার হওয়ার গাইডলাইন পেতে পারেন।   

"ফুল-স্ট্যাক" কি আসলে? || What Is Full-Stack? 

ওয়েব ডেভেলমেন্ট নিয়ে কাজ করছেন, আর এই “ফুল-স্ট্যাক” কথাটি শুনেননি! এমনতি হতেই পারে না! তাই Laravel-এর নিয়ে বিস্তারিত জানার আগে, আপনাকে জানতে হবে, ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কনটেক্সটে এই "ফুল-স্ট্যাক" কথাটির মানে কি?  

যখন একটি সম্পূর্ণ ওয়েব এপ্লিকেশন তৈরির যাবতীয় টুলস একটি ফ্রেমওয়ার্কে পাওয়া যায়, তখন সেটিকে বলা হয়, ফুল-স্ট্যাক ফ্রেমওয়ার্ক। আর এই ফুল-স্ট্যাক মূলত নিচের ৩টি এরিয়াকে ফোকাস করে। 

১. ব্যাকএন্ড (সার্ভার-সাইড) || 1. Backend (Server-Side)

ব্যাকএন্ড হলো মূলত হিডেন  ইঞ্জিন যা ইউজার রিকুয়েস্ট প্রসেস করে, ডাটাবেসের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করে এবং অ্যাপ্লিকেশনের লজিক তৈরি করে। এটিকে বলা হয়, অপারেশনের ব্রেইন, কেননা ব্যাকএন্ড-ই সার্ভার সাইড থেকে কোর-ফাংশনালিটি হ্যান্ডেল করে। তাই কোন ফ্রেমওয়ার্ককে ফুলস্ট্যাক হতে হলে, এই টুলটি থাকতে হবে।

২. ফ্রন্টএন্ড (ক্লায়েন্ট-সাইড) || 2. Frontend (Client-Side)

ফ্রেমওয়ার্কের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ টুল হল ফ্রন্টএন্ড। এটি ক্লায়েন্ট সাইড থেকে ইউজার ইন্টারফেসকে রিপ্রেজেন্ট করে এবং এটি একটি ভিজ্যুয়াল এলিমেন্ট  যেটি সরাসরি ইউজারদের সাথে ইন্টারেক্ট করে। এটিকে অ্যাপ্লিকেশনের ফেইস বা সম্মুখভাগ বলা হয় যা ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের রুপে আলোচনায় চলে আসে।  

৩. ডাটাবেস ইন্টারঅ্যাকশন || 3. Database Interaction 

যেকোন ফ্রেমওয়ার্ককে অবশ্যই ডেটাবেসের সাথে সবসময় কমিউনিকেশন রাখতে হয়। কেননা ফ্রেমওয়ার্ক মূলত ডেটা স্টোর এবং রিট্রিভ করে, অ্যাপ্লিকেশনের সেইফ স্টোরেজ নিশ্চিত করে। তাই ফুল-স্ট্যাক ফ্রেমওয়ার্ক হতে হলে অবশ্যই ডাটাবেস ইন্টারেকশন থাকতে হবে। 

এই তিনধরনের সুবিধা যদি কোন ফ্রেমওয়ার্কে থাকেয় তাহলে সেই ফ্রেমওয়ার্ককে আপনি ফুল-স্ট্যাক ফ্রেমওয়ার্ক বলতে পারেন। এখন নিশ্চয় সেই প্রশ্নটি আবারো ভাবছেন যে, লারাভেল কি তাহলে ফুল-স্ট্যাক ফ্রেমওয়ার্ক?

লারাভেলের ব্যাকএন্ড পাওয়ার || Laravel's Backend Power

যখন ব্যাকএন্ড নিয়ে কথা আসে, তখন বলা যায় লারাভেল-ই সবচেয়ে ব্রাইট একটি ফ্রেমওয়ার্ক। পিএইচপি-তে বিল্ট এই লারাভেল ফ্রেমওয়ার্কটি ব্যাক-এন্ড ডেভেলমেন্টকে স্ট্রিমলাইন করে এমন একটি পাওয়ারফুল সেট আপনাকে অফার করে। যেমন 

মডেল-ভিউ-কন্ট্রোলার (MVC) আর্কিটেকচার || Model-View-Controller (MVC) Architecture

 লারাভেল MVC এর সাথে ক্লিন সেপারেশন বজায় রেখে কোড অর্গানাইজেশন, মেইনটেনেন্স এবং টেস্টের কাজগুলো করে থাকে । আপনি এই মডেলগুলো দিয়ে ডেটা স্ট্রাকচারকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারবেন, ভিউগুলো দিয়ে প্রেজেন্টেশন লজিক হ্যান্ডেল করতে পারবেন এবং কন্ট্রোলারগুলো দিয়ে ইউজার ইন্টারেকশন এবং বিজনেস লজিক ম্যানেজ করতে পারবেন।

পারফেক্ট ORM || Eloquent ORM

লারাভেলের অবজেক্ট-রিলেশনাল ম্যাপিং (ORM) ডেভেলপারদের পিএইচপি অবজেক্ট ব্যবহার করে, ডেটা নিয়ে কাজ করার এক্সেস দেয়। যার ফলে এটি আপনার ডাটাবেসের ইন্টারেকশনকে সহজ করে। ফলে এপ্রোচটি বয়লারপ্লেট কোড কমায় এবং আপনার ডেটা ম্যানিপুলেশনকে স্ট্রীমলাইন করে।

অথেনটিকেশন এবং অথোরাইজেশন || Authentication And Authorization

লারাভেল ইউজার অথেনটিকেশন এবং অথোরাইজেশনের জন্য বিল্ট-ইন ফাংশনালিটি প্রোভাইট  করে। ফলে আপনি সিকিউর  অ্যাক্সেস কনট্রোল করতে পারবেন এবং সেনসিটিভ ডেটাতে আন-অথোরাইজড অ্যাক্সেস বাদ দিতে পারবেন।

রাউটিং || Routing

লারাভেল আপনার জন্য একটি এলিগেন্ট রাউটিং সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন রুট ডিফাইন করে। যেটি দিয়ে আপনি কনট্রোলারের এ্যাকশন ডিফাইন করতে  URL ম্যাপিং করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি সহজেই অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে বিভিন্ন ফাংশনের জন্য রুট ডিফাইন করতে পারবেন।

সিকিউরিটি ফিচার || Security Features

লারাভেল আপনাকে ওয়েবসাইটের ইউজার ইনপুট ভ্যালিডেশন এবং CSRF প্রোটেকশন মতো প্রয়োজনীয় সিকিউরিটি ফিচারগুলো অফার করে। এই ফিচারগুলো SQL ইনজেকশন এবং Cross-Site Request Forgery এ্যাটাকের মতো রিস্ক থেকে অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে রক্ষা করে।

টাস্ক সাজানো ||Task Queuing

আপনার ওয়েবসাইটের ব্যাকগ্রাউন্ড টাস্ক প্রসেসিং-কে লারাভেলের Task Queuing   সিস্টেম আরো দক্ষ করে তোলে। এটি অ্যাসিঙ্ক্রোনাসভাবে সময় বেশি লাগে এমন প্রসেসগুলো হ্যান্ডেল করে। ফলে আপনার অ্যাপ্লিকেশন রেসপন্সিভনেস ডেভেলপ হয়।

আর্টিসান সিএলআই || Artisan CLI

লারাভেলের কমান্ড-লাইন ইন্টারফেস (সিএলআই) টুল হিসেবে আর্টিসান আপনাকে অনেক কাজে হেল্প করবে। যেমন, কোড তৈরি, ডাটাবেস মাইগ্রেশন ম্যানেজমেন্ট  এবং বিভিন্ন মেইন্টেনেন্সের কাজ করে ওয়েবসাইটে ইফেক্টিভিটি বাড়ায়। এছাড়া এগুলো আপনার রিপিটিটিভ কাজগুলোকে কমিয়ে ফেলে ও কমন প্রসেরগুলোকে অটোমেটিক করে।  

থার্ড পার্টির প্যাকেজের একটি বিস্তৃত ইকোসিস্টেমসহ, এই ফিচারগুলো ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের জন্য পাওয়ারফুল, সিকিউর এবং স্কেলেবল ব্যাকএন্ড ক্রিয়েটে আপনাকে সাপোর্ট দিবে। তাই বলা যায়, লারাভেলের ব্যাকএন্ড পাওয়ার খুবই স্ট্রং। 

লারাভেলের ফ্রন্টএন্ড পাওয়ার  || Laravel's Frontend Power

লারাভেল ব্যাকএন্ড এরেনায় যেমন বেস্ট, তেমনি এর ফ্রন্টএন্ড পাওয়ারগুলোও কিন্তু কম নয়! লারাভেল HTML ভিউ জেনারেট করতে Blade মতো টেমপ্লেটিং ইঞ্জিন ইউজ করে, কিন্তু এটি ফ্রন্টএন্ড ফ্রেমওয়ার্ক বা লাইব্রেরি ডিটেক্ট করে না। এই এপ্রোচটি ডেভেলপারদের তাদের পছন্দের ফ্রন্টএন্ড টুল সিলেক্ট করে নেওয়ার ফ্লেক্সিবিলিটি দেয়, যেমন:

ভ্যানিলা জাভাস্ক্রিপ্ট || Vanilla JavaScript

ডেভেলপাররা সিম্পল অ্যাপ্লিকেশন এবং বেসিক ফ্রন্টএন্ড ইন্টারঅ্যাকশনের জন্য জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করতে পারে।

জাভাস্ক্রিপ্ট ফ্রেমওয়ার্ক  ||JavaScript Frameworks

জনপ্রিয় ফ্রেমওয়ার্ক যেমন Vue.js, React.js বা Angular.js ডায়নামিক এবং ইন্টারেক্টিভ ইউজার ইন্টারফেস তৈরি করতে Laravel এর ব্যাকএন্ডের সাথে এলাইন হতে পারে। এই ফ্রেমওয়ার্কগুলো কমপ্লেক্স ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরির জন্য এডভান্স ফাংশন  অফার করে।

সিএসএস ফ্রেমওয়ার্ক  || CSS Frameworks

বুটস্ট্র্যাপ, টেলউইন্ড সিএসএস, বা অন্যান্য সিএসএস ফ্রেমওয়ার্ক স্টাইলিং এবং লেআউটের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। এই টুলসগুলো প্রি-বিল্ট স্টাইল এবং কম্পোনেন্টগুলো অফার করে, যা আপনার ফ্রন্টএন্ড ডেভেলমেন্ট প্রসেসকে আরো স্ট্রং করে।

এই ফ্লেক্সিবিলিটিগুলো ডেভেলপারদেরকে তাদের প্রজেক্টের ফ্রন্টএন্ড এক্সপেরিয়েন্স ডেভেলপ করে। এখন এই কাজগুলোর জন্য যদি আপনি আলাদা আলাদা ফ্রন্টএন্ড কম্বাইন করতে যান, তাহলে সেখানে অতিরিক্ত সেটআপের পাশাপাশি আপনার সময়ও নষ্ট করবে। কিন্তু সেই ফ্রেমওয়ার্কটি যদি হয় লারাভেল, তাহলে আর আপনাকে এতোসব এক্সট্রা ঝামেলায় যেতে হবে না। 

লারাভেলের সাথে ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট  || Full-stake Development With Laravel

এতক্ষনে নিশ্চয়ই লারাভেলের ফ্রন্টএন্ড ও ব্যাকএন্ডের এরিয়া নিয়ে ধারনা পেয়ে গেছেন। এখন ফুলস্ট্যাকে লারাভেল দিয়ে কতটুক ওয়েব ডেভেলমেন্ট সম্ভব, চলুন তা জেনে নেই। 

লারাভেল লাইভওয়্যার  || Laravel Livewire

এই অফিসিয়াল লারাভেল এক্সটেনশনটি সরাসরি ব্লেড টেমপ্লেটের মধ্যে ডায়নামিক ইউজার ইন্টারফেস ক্রিয়েট করার জন্য একটি মডেল-ড্রিভেন এপ্রোচ নিয়ে কাজ করে। লাইভওয়্যার রিয়েল-টাইম ডেটা আপডেটের জন্য ওয়েবসাইটগুলোকে লেভারেজ করে, যা আপনাকে লারাভেল ইকোসিস্টেমের মধ্যে একটি ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্টের এক্সপেরিয়েন্স দিবে।  আপনি চাইলে ব্লেড টেমপ্লেটের কম্পফোর্ট জোন না ছেড়েই ইন্টারেক্টিভ ইন্টারফেস তৈরি করতে পারবেন।

API-ড্রিভেন ডেভেলপমেন্ট  || API-Driven Development

Laravel সিকিউর এবং স্কেলেবল RESTful API তৈরিতে খুবই এক্সপার্ট। Vue.js, React.js, বা Angular.js-এর মতো আলাদা ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে তৈরি ফ্রন্টএন্ড অ্যাপ্লিকেশনগুলো ডেটা ইন্টারঅ্যাকশনের জন্য এই APIগুলোকে ব্যবহার করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ব্যাকএন্ড লজিকটি লারাভেলে থাকবে, যখন আপনি ফ্রন্টএন্ড প্রেজেন্টেশন লেয়ারটি একটি আলাদা ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে হ্যান্ডেল করবেন। এই এপ্রোচটি আপনার ওয়েবের ফ্লেক্সিবিলিটি এবং মেইন্টেইনেবিলিটিকে প্রমোট করে। এছাড়া আপনি ফ্রন্টএন্ড প্রেজেন্টেশনকে প্রভাবিত না করে ব্যাকএন্ড লজিকে পরিবর্তন আনতে পারেন। পাশাপাশি, API-ড্রিভেন ডেভেলমেন্টে আপনাকে অ্যাপ্লিকেশনগুলোর সহজ ডিপ্লয়মেন্ট এবং স্কেলিং করার এক্সেস দিবে, যেহেতু আপনি  ব্যাকএন্ড এবং ফ্রন্টএন্ড স্বাধীনভাবে ডিপ্লয় করতে পারেন।  

কমিউনিটি-ড্রিভেন সলিউশন  || Community-Driven Solutions

আপনি জানেন কি? লারাভেল কমিউনিটি অসংখ্য ফ্রন্টএন্ড স্টার্টার কিট এবং প্যাকেজ তৈরি করেছে যা জাভাস্ক্রিপ্ট ফ্রেমওয়ার্কের  ইন্ট্রিগ্রেশনকে সহজ করে। এই টুলসগুলো আপনার ডেভেলপমেন্ট প্রসেসকে স্ট্রিমলাইন করবে এবং পাশাপাশি ফ্রন্টএন্ড ওয়ার্কফ্লোগুলোর জন্য প্রি-কনফিগার করা সেটআপগুলো অফার করবে। যার কারণে আপনি আরও বেশি ফুল-স্ট্যাকের ফিল পাবেন।  এরকম কিছু কমিউনিটি-ড্রিভেন সলিউশন নিয়ে জেনে রাখতে পারেন:

লারাভেল ব্রীজ  || Laravel Breeze

একটি অফিসিয়াল লারাভেল প্যাকেজ যা Vue.js এবং Tailwind CSS ব্যবহার করে SPA ( সিঙ্গেল-পেইজ অ্যাপ্লিকেশন) তৈরির জন্য একটি স্টার্টিং পয়েন্ট প্রোভাইট করে। এটি অথেনটিকেশন, ইউজার ম্যানেজমেন্ট এবং আরও অনেক কিছুর জন্য প্রি-বিল্ট কম্পোনেন্ট অফার  করে।

লারাভেল UI  || Laravel UI

বুটস্ট্র্যাপ, Vue.js, এবং React.js-এর জন্য প্রি-বিল্ট UI কম্পোনেন্ট অফার করে এমন আরেকটি অফিসিয়াল প্যাকেজ হল লারাভেল UI । এটি ডেভেলপারদের স্ক্র্যাচ থেকে শুরু না করেই তাদের লারাভেল প্রজেক্টগুলোতে এই ফ্রেমওয়ার্কগুলোকে ইন্ট্রিগ্রেট করতে দেয়।

থার্ড-পার্টি প্যাকেজ  || Third-Party Packages 

ইউজার ইন্টারফেস, ফর্ম ভ্যালিডেশন এবং ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশনের মতো বিভিন্ন ফাংশনালিটির জন্য অসংখ্য কমিউনিটি-ডেভেলপড প্যাকেজ রয়েছে। এই প্যাকেজগুলো লারাভেল কমিউনিটির স্কিলকে  কাজে লাগিয়ে সহজেই লারাভেল প্রজেক্টগুলোতে ইন্ট্রিগ্রেট করা যেতে পারে।

ফুল-স্ট্যাকে লারাভেল কি বেস্ট চয়েজ? || Is Laravel The Best Choice For Full-stake?

ফুল-স্ট্যাক ফ্রেমওয়ার্ক হিসাবে লারাভেলকে সিলেক্ট করার ডিসিশনটি আপনার ওয়েব ডেভেলমেন্টের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই এই ডিসিশনটি নেয়ার আগে লারাভেল বেস্ট চয়েজ কিনা, তা জানতে কয়েকটি ব্রেকডাউন আপনাকে হেল্প করবে। যেমন: 

  • লারাভেলে আপনি পাবেন MVC, ORM, এবং সিকিউরিটির মত ফিচার সহ পাওয়ারফুল ব্যাকএন্ড।
  • প্রজেক্টের প্রয়োজন এবং আপনার প্রেফারেন্স অনুযায়ী ফ্রন্টএন্ড টুলস সিলেক্ট করার ফ্লেক্সিবিলিটি।
  • ব্যাকএন্ড এবং ফ্রন্টএন্ড উভয় দিকের স্ট্র ইকোসিস্টেম এবং কমিউনিটি সাপোর্ট।
  • Livewire এবং কমিউনিটি প্যাকেজের মতো টুলসগুলো লারাভেলের ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্টকে আরো বেটার এক্সপেরিয়েন্স দেয়।

একটি ফুল-স্ট্যাক ফ্রেমওয়ার্ক হিসাবে লারাভেলের ফিউচার || The Future of Laravel as a Full-Stack Framework

লারাভেল প্রতিনিয়ত তাদের ফুল-স্ট্যাক পাওয়ার বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাই দিন দিন ডেভলপারদের জন্য লারাভেলের সুবিধা বেড়েই চলেছে। আর বলা হচ্ছে, এভাবে যদি এর ধারা বজায় থাকে, তাহলে আমরা খুব শীঘ্রই  লারাভেল ভার্সনে ব্যাকএন্ড এবং ফ্রন্টএন্ডের মধ্যে আরও বেশি ইন্টিগ্রেশন দেখতে পাবো। যার ফলে ভবিষ্যতে ডেভেলপারদের জন্য লারাভেল হবে ফুল-স্ট্যাকের জন্য বেস্ট অপশন। 

কোথায় শিখবেন ? || Where  To Learn?

লারাভেল একটি বিস্তৃত এরিয়া। এর ফুল পটেনশিয়াল যদি কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আপনার ওয়েব ডেভেলমেন্ট হবে সবচেয়ে বেস্ট এবং পাওয়ারফুল। তাই লারাভেল নিয়ে বিস্তারিত শিখতে আপনি চাইলে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের সহায়তা নিতে পারেন। ইউটিউবে অনেক চ্যানেল ফ্রি-তে লারাভেল নিয়ে কোর্স আপলোড করেছে, যেগুলো আপনাকে লারাভেল ফুল-স্ট্যাক নিয়ে বেসিক আইডিয়া দিবে। এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মও এই বিষয়ে কোর্স অফার করে থাকে। যেমন: Laracasts, Udemy, Pluralsight, CodeCademy ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম। এছাড়া আপনি যদি বাংলা ভাষায় লারাভেল নিয়ে ফুলস্ট্যাক কোর্স করতে চান তাহলে ওস্তাদের কোর্সটি আপনার জন্য বেস্ট অপশন হতে পারে।  

লারাভেলের ব্যাকএন্ড, ফ্রন্টএন্ড ও অন্যান্য সুবিধা নিয়ে তো বিস্তারিত জানতে পারলেন। এখন আপনার মতামত-ই বলতে পারে, লারাভেল কি ফুলস্ট্যাক ফ্রেমওয়ার্ক? আশা করি, আমার সাথে আপনিও লারাভেল যে ফুল-স্ট্যাক ফ্রেমওয়ার্ক, সে বিষয়ে একমত হতে পারবেন। 

লেখা: Ayesha Alam

Share this article

RELATED ARTICLES

টেকনোলজি না জানা কেউ কি DevOps শিখতে পারবে?  ||  Can A Non_IT Person Learn DevOps? (DevOps Guideline for Non-IT Person)

বর্তমান টেক দুনিয়ায় DevOps (Development and Operations) একটি জনপ্রিয় প্রফেশান হিসেবে গড়ে উঠেছে। DevOps মূলত একটি প্রসেস যা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং আইটি অপারেশনস টিমের মধ্যে কম্বাইন করে, যার ফলে ফাস্ট, রিলায়েবল এবং ইফেক্টিভ সফটওয়্যার ডেলিভারি এনশিউর হয়। DevOps-এ ডেভেলপ মানে কেবল টেকনিক্যাল স্কিল নয়, বরং টিম কোলাবোরেশন, কালচারাল চেঞ্জ এবং ডেভেলপ প্রসেসের ইউজের স্কিলও এতে ইনক্লুডেট। আজ আলোচনা করা হবে, Non-IT বা টেকনোলজিক ফিল্ডে না থাকা কেউ কি DevOps শিখতে পারবে? এবং এই প্রফেশানে সাকসেসফুলল

20 October 2024

1 min read

DevOps শেখা কি সহজ? ||  Is DevOps Easy to Learn? (DevOps Learning Guideline)

বর্তমান টেক দুনিয়ায় DevOps একটি বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ আইডিয়া। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও আইটি অপারেশনের মধ্যে একটি ব্রিজ হিসেবে DevOps-এর ইনোভেশন হয়েছে। এটি সফটওয়্যার ডেভেলমেন্ট ও ডেলিভারির স্পীড বাড়ানোর জন্য অটোমেটিক টুলস ও প্র্যাকটিসের মাধ্যমে কাজ করে। এই DevOps শেখা কি সহজ? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকাংশে নির্ভর করে একজন লার্নারের ব্যাকগ্রাউন্ড, এক্সপেরিয়েন্স এবং শেখার ইন্টারেস্টের উপর।  আসুন এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার আগে আজকের টপিকগুলো জেনে নেই, DevOps কী? DevOps শেখার চ্যালেঞ্জ  শেখা

20 October 2024

1 min read

DevOps এর কোন ল্যাঙ্গুয়েজটি বেস্ট?  ||  Which Language is Best for DevOps? || (Best Language For DepOps)

DevOps বর্তমানে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং আইটি অপারেশনসের কম্বাইন প্রসেস হিসেবে কাজ করছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো সফটওয়্যার ডেলিভারি প্রসেসকে ফাস্ট এবং কারেক্টলি কমপ্লিট করা, যেখানে ডেভেলপার এবং অপারেশন টিম কোলাবোরেটলি কাজ করে। DevOps প্রসেসে DevOps এর জন্য পারফেক্ট প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের সিলেক্ট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি সিস্টেম অটোমেশন, কনফিগারেশন ম্যানেজমেন্ট, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজমেন্ট এবং আরও বিভিন্ন কাজে হেল্পফুল হয়। DevOps-এর কাজের প্রসেসে ইউজ করার মতো বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্

08 October 2024

1 min read

পাইথন কি বিগিনারদের জন্য শেখা সহজ? || Is Python Easy to Learn for Beginners || ( Python Guideline for Beginners)

প্রোগ্রামিংয়ের দুনিয়া বিগিনারদের জন্য অনেকটা কঠিন। প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহ থেকে ক্যারিয়ার হিসেবে অনেকেই প্রোগ্রামার হতে চায়। কিন্তু প্রোগ্রামার হওয়ার জার্নিটা এতো সহজ নয়। দিনের পর দিন কোডিং নিয়ে থাকতে থাকতে অনেকেই হাপিয়ে যায়। ঠিক তখন-ই বিগিনারদের এই কোডিংয়ের ঝামেলা থেকে চলে আসে পাইথন। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের দুনিয়ায় সবচেয়ে সহজ প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বলা হয় পাইথনকে। কিন্তু এই কথা কি আসলেই সত্যি?  * কেন পাইথন শেখা সহজ? ● পাইথনের ইংরেজি সিনট্যাক্স ● পাইথন লজিকে ফোকাস করে ● পাইথন ফ্রি-তে ইউজ করা

08 October 2024

1 min read

অনলাইন লাইভ স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম।

ডাউনলোড করুন ওস্তাদ অ্যাপ

কমিউনিটি -এর সাথে কানেক্টেড থাকতে